বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন হল টেবিল টেনিসের জাতীয় ফেডারেশন এবং বাংলাদেশে এই খেলা পরিচালনার জন্য দায়ী। জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ছিলেন ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন (BTF)-এর এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ সাফল্য হিসেবে সাধারণভাবে বিবেচিত হয়:
০১. ডেভিস কাপ (Davis Cup) এ সাফল্য
- বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৯৮৯ সালে এশিয়া ও সিয়ানা জোন গ্রুপ II-তে সেমিফাইনালে ওঠে, যা জাতির এই খেলার ইতিহাসে টেনিস দলে প্রথম বড় অভিযান ছিল.
- সেই যাত্রার ফলশ্রুতিতে ২০১১ ও ২০১৩ সালে BTF-এর ক্যাপ্টেন ও ম্যানেজার হিসেবে খালেদ (সালাহউদ্দিন) আহমেদ জ্যামাইড অ্যাডভান্স হয়ে জোন–৪ থেকে জোন–৩ এ উন্নীত হয়
- পরবর্তীতে ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে আবারও বিপুল প্রচেষ্টা চালানো হয়।
এই ডেভিস কাপ পদক্ষেপগুলি হলো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেনিসে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বীকৃতি।
২. দেশীয় ও জুনিয়র টুর্নামেন্ট আয়োজন
- ২০০৮ থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জুনিয়র টুর্নামেন্ট আয়োজন শুরু করে BTF, যা যুব প্রতিভার বিকাশ ও আন্তর্জাতিক মান অর্জনে সহায়ক হয়।
- জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স (জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, Ramna, Dhaka) প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৭ সালে এবং ২০১৮ সালে তার পূনর্নির্মাণ হয়, যা দেশের সদর দফতর হিসেবে BTF-এর অবকাঠামোগত ভিত্তি মজবুত করে।
৩. ব্যক্তিগত সাফল্য—খালেদ (সালাহউদ্দিন) আহমেদ
- বাংলাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত টেনিস তারকা, তিনি ১৯৭২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে প্রথম জাতীয় পুরুষ একক ও দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন হন—এটি এমন এক অর্জন যা আজও অনবদ্য।
- পরবর্তীতে তিনি সবজেতে খেলোয়াড়, কোচ ও প্রশাসক হিসেবে দেশের টেনিস উন্নয়নে অবদান রাখেন।
সারাংশে
- BTF-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য পরিপ্রেক্ষিতে হল ডেভিস কাপ‑এ এশিয়া/ওসিয়ানা জোন গ্রুপ II-তে সেমিফাইনালে ওঠা ও পরে জোন উন্নীত হওয়ার ধারাবাহিকতা। সেই সঙ্গে ব্যক্তি হিসেবে খালেদ আহমেদ ও জুনিয়র অধিবেশন আয়োজন এসব প্রতিষ্ঠানটির দিক নির্দেশ করে।
ভবিষ্যতে সম্ভাবনা
- BTF এখনো অন্যতম দরকারী দফায় পথচলা করছে — জাতীয় ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক জুনিয়র টুর্নামেন্টের ধারাবাহিক আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রতিভাগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।